স্টাফ রিপোর্টার: ছিনতাইকারীর হামলায় রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীর মাথার হাড় ভেঙে গেছে। ৩৬ ঘণ্টা ধরে তিনি অচেতন রয়েছেন। এই ছাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। গত রোববার ভোরে তিনি ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুত্বর আহত হন তিনি। এরপর থেকে তার জ্ঞান ফেরেনি।
এই ঘটনায় নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই শিক্ষার্থীর নাম নিশাদ আকরাম (২৪)। তার বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
হামলার ঘটনায় তার চাচাত ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায়। সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিশাদের এক বান্ধবী জানান, তিনি ও নিশাদ তার এক অসুস্থ বান্ধবীকে রেখে রিকশায় করে আসছিলেন। তারা নগরীর রাজারহাতা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা এসে নিশাদকে আঘাত করে। নিশাদ রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার পরে রিকশাওয়ালা ভয়ে আরও দ্রুত গতিতে রিকশা চলাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি নামতে পারছিলেন না।
অনেকখানি দূরে যাওয়ার পরে তিনি চিৎকার করলে সকালে মসজিদের নামাজ পড়ে বের হওয়া লোকজন এগিয়ে এলে রিকশাওয়ালা রিকশা থামান। তারপরে তিনি নিশাদের কাছে গিয়ে দেখেন তিনি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তার মানি ব্যাগ নেই। মোবাইল ফোন নেই। হাতঘড়িটা খানিকটা দূরে পাওয়া গেছে। পায়েল স্যান্ডেল দূরে পড়ে আছে। এই হামলার পর থেকে তিনি আর কথা বলতে পারেননি। তখনই তাকে হাসপাতাল নিয়ে যান। তিনি বলেন, হামলাকারীদের একজনকে দেখলে তিনি চিনতে পারবেন। তিনি একটা দেশি অস্ত্র হাতে রিকশার দিকে আসছিলেন।
হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন, ভর্তির পর থেকে এখনো ওই রোগীর চেতনা ফেরেনি। তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তার অবস্থা ভালো বা খারাপ কোনোটাই বলা যাচ্ছে না।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে একজন আসামি ধরা হয়েছে। তার নামে সাত-আটটি মামলা আছে। সে পেশাদার ছিনতাইকারী। তাকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।