স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর তানোরে উলুবন (কাইশা) কাটতে গিয়ে ছোট ভাইকে বেঁধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের শালবাড়ি সল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতে ধর্ষণের ঘটনায় তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে পুলিশ। তবে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত) অভিযুক্ত পলাকত ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির শালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসিপাড়ার জনৈক ব্যাক্তির ৫ম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে গত শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় তাঁরা দুই ভাই-বোন একসঙ্গে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মাঠে খাড়ির ধারে উলুবন (কাইশা) কাটতে যায়। ওই সময়ে পাশের জমিতে কাজ করতে থাকা স্থানীয় আলেক চানের ছেলে জনি (২২) ও আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২০) তাদের দেখতে পেয়ে মাঠের একধারে নিয়ে ছোট ভাইকে স্থানীয় ওই যুবক মোহাম্মদ আলী জোর করে বেঁধে রাখে এবং আরেক যুবক জনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই নাবালিকা তরুণীকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।