Home আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পারছে না গাজায়

ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে পারছে না গাজায়

ত্রাণবাহী  ট্রাক ঢুকতে পারছে না গাজায়

অনলাইন ডেস্ক: মিশরের সঙ্গে ইসরাইলের ৫ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির সমঝোতার পরও ফিলিস্তিনের জন্য ত্রাণবাহী প্রায় ১০০ ট্রাক আটকে আছে রাফাহ ক্রসিংয়ে। রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট হলো মিশর এবং গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট। এটি গাজা-মিশর সীমান্তে অবস্থিত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানায়, বিদেশিদের অপসারণ ও ত্রাণ সহায়তার জন্য ফিলিস্তিনের গাজায় ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও রাফাহ ক্রসিং খোলার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আল আরাবিয়া সংবাদদাতার মতে, রাফাহ ক্রসিংয়ে গাজার জন্য ত্রাণবাহী শতাধিক ট্রাককে ফিলিস্তিন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

আল আরাবিয়া সংবাদদাতা আরো জানান, মানবিক যুদ্ধবিরতির আলোকে আল-আরিশ থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে হামাসের একজন নেতা ক্রসিং খোলার বিষয়ে কোনো চুক্তির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন।

এর আগে, মিশরীয় নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও মিশরের মধ্যে দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। এ চুক্তির আলোকে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৬ টায় শুরু হয়ে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত যুদ্ধরিবরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিলো। এর মধ্যে রাফাহ ক্রসিং ব্যবহার করে বিদেশিরা ফিলিস্তিন থেকে বের হবে ও ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকবে। কিন্তু এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ারই কথা বলছেন আল আরাবিয়া সংবাদদাতা।

তিনি জানান, এখানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হওয়ারই আশঙ্কা বেশি।
এদিকে মার্কিন দূতাবাস গাজায় অবস্থান করা তাদের নাগরিকদের রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে আসার পরামর্শ দিয়েছে। তারা জানায়, সোমবার রাফাহ ক্রসিং সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকতে পারে।

এর আগে, একটি সূত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এবিসি নেটওয়ার্ককে বলে, রাফাহ ক্রসিং সোমবার কয়েক ঘণ্টার জন্য খুলবে। সন্ধ্যায় আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।

৭ অক্টেবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এ পর্যন্ত ইসরাইলের ২৮৬ সেনাসহ ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার।

ইসরাইলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ২ হাজার ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখনও এই হামলা অব্যাহত আছে।
এদিকে গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ইসরাইলের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনী।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here