অনলাইন ডেস্ক: ব্যস্ত একটি বছর পেরিয়ে ২০২৪-এ পা দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। এরপরই গত বছরে ২২ গজে দ্যুতি ছড়ানো ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করার কার্যক্রম শুরু করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি উদীয়মান ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
যেখানে জায়গা পেয়েছেন বিভিন্ন দেশের ৪ ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র, ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল, দক্ষিণ আফ্রিকার জেরাল্ড কোয়েটজে ও শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কা আছেন ওই দৌড়ে।
বোলিং ও ব্যাটিং থেকে সমান দুজন করে স্থান পেয়েছেন উদীয়মান খেলোয়াড়দের মনোনয়নে। যাদের মধ্যে জয়সওয়াল বাদে বাকি তিনজনই বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন।
তবে বিশ্বকাপে সুযোগ না পেলেও, অল্প সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বেশকিছু কীর্তি গড়ে ফেলেছেন ভারতীয় বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান জয়সওয়াল। আইসিসি ভোটিং একাডেমি ও সমর্থকদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে।
নিউজিল্যান্ড দলে টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান ও বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে ডাক পেয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। অথচ পরে তিনি বনে যান পুরোদস্তুর ওপেনার হিসেবে। নতুন ওই ভূমিকায় তিনি ভারতে স্বপ্নের মতো অভিষেক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন।
২০২৩ সালের মার্চে ওয়ানডে ফরম্যাটে অভিষেক হয় রাচিনের। এরপর থেকে ২৫ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৮২০। বল হাতেও ১৮ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের (৫৭৮) দৌড়েও ছিলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত।
২০২৩ সালে তিনি তিনটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরি করেছেন। গেল বছর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ১২টি খেলে রান করেছেন স্রেফ ৯১, পেয়েছেন ৫ উইকেট। তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে দুই বছর আগেই অভিষেক হয়েছিল রাচিনের।
২৩ বছর এই পেসারও বিশ্বকাপে চাপের মুহূর্তে প্রোটিয়াদের হাল ধরার নজির দেখান। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়েন কোয়েটজে।
নিয়মিত বলে গতিও রাখতে পারেন ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের আশপাশে। এরপর অন্য ফরম্যাটেও বছরজুড়ে তিনি ছিলেন দারুণ ধারাবাহিক। তিন সংস্করণেই কোয়েটজের অভিষেক হয় সে বছর। টেস্টে ইনিংস গড়ে তিনি দুটি করে মোট ১০ উইকেট নিয়েছেন।
ওয়ানডেতে উইকেটে নিয়েছেন প্রতি ১৩ বলে একটি করে। বিশ্বকাপে সেরা উইকেটের দৌড়ে থাকা এই পেসার ওয়ানডেতে বছরজুড়ে ৩১ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ৬ উইকেট শিকার।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অভিষেক হওয়া বাঁ-হাতি এ পেসার দলে জায়গা পাঁকা করেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। যদিও তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন আরেক পেসার দুষ্মন্ত চামিরার চোটের সুবাদে।
এরপর বাকি সময়ে বল হাতে তিনি ঝড় তুলেছেন। বিশ্বকাপের প্রথম ৪ ম্যাচে ১১টিসহ মোট নেন ২১ উইকেট। যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে তিনি এ বছর ৬ উইকেট নিয়েছেন।
আইপিএলে রানের ফুলঝুরি ফুটিয়ে ভারত জাতীয় দলে ডাক পান জয়সওয়াল। তার প্রথম অভিষেক হয় টেস্ট ফরম্যাটে। জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে খেলতে নেমে প্রথম টেস্টেই তিনি ১৭১ রানের ইনিংস খেলেন। যা ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও এনে দেয় তাকে।
একই সময়ে অভিষেক হয় টি–টোয়েন্টি সংস্করণেও। সেখানে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫১ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পরে এশিয়ান গেমসে নেপালের বিপক্ষে খেলেন ৪৯ বলে ১০০ রানের ইনিংস।
ওই বছর সবমিলিয়ে ৭০.৭৫ গড়ে টেস্টে ২৮৩ এবং ৩৩.০৭ গড় ও ১৫৯.২৫ স্ট্রাইকরেটে টি–টোয়েন্টিতে ৪৩০ রান করেছেন জয়সওয়াল।