বাগমারায় প্রতিবন্ধীর আম বাগান কেটে সাবাড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বাগমারায় প্রতিবন্ধীর আম বাগান কেটে সাবাড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

হেলাল উদ্দীন,বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় প্রতিবন্ধী লাল্টুর আম বাগান কেটে সাবাড় করে ফেলার ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে গাছ কাটার সময় বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বন্ধ করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সূর্যপাড়া মহল্লায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সূর্যপাড়া মহল্লার আরএস ১০৫ নং খতিয়ানের ৫১১ নং দাগের একটি আমবাগানের গাছ কাটা হয়েছে। জানাগেছে, মৃত আহম্মদ আলীর মেয়ে আনোয়ারা বেগম মারা যাওয়ার আগেই ১৯৭৬ সালে ওই সম্পত্তি মা-বাবার কাছে বিক্রয় করে যায়। এরপর থেকে ওই সম্পত্তি আহম্মদ আলী ভোগদখল করে আসছিল। পিতার মৃত্যুর পর অংশ মূলে যে সম্পত্তি পেয়েছে সেটা এবং আনোয়ারার নিকট থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তির পাশাপাশি অন্য শরিকদের অংশ ক্রয় করে। এরপর ৩৩ শতক ওই সম্পত্তিতে আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করে। তখন থেকে প্রতিবন্ধী লাল্টু বিবাদমান সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। ওই সম্পত্তি নিয়ে মামলা হলেও বারাবরই রায় পান লাল্টু। পরবর্তীতে মৃত আনোয়ারার মেয়ে সাবানা খাতুন, ববিতা, ফিরোজা সহ তাদের জামাইরা মিলে লাল্টুর ভোগদখলিয় সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। দখল করতে না পারাই প্রতিপক্ষরা ওই সম্পত্তির উপরে আদালতে গিয়ে পুনরায় মামলা করে। যা এখনো বিচারাধীন।

আরও পড়ুনঃ  নিয়ামতপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

এদিকে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় জোর পূর্বক প্রতিবন্ধী লাল্টুর ভোগদখলিও আম বাগান বেপারির নিকট বিক্রয় করে দেয়। বেপারি আমগাছ কেটে শেষ করে দিয়েছে। জোরপূর্বক আম বাগান কাটায় অসহায় হয়ে পড়েছে প্রতিবন্ধী লাল্টু। লাল্টুর ভাই কাশেম আলী বলেন, বিক্রয় করা সম্পত্তি জোর পূর্বক মৃত আনোয়ারার মেয়ে এবং জামাইরা জবরদখলের চেষ্টা করছে। তারা এই সম্পত্তির মালিক না। প্রতিবন্ধী লাল্টুকে অসহায় পেয়ে তারা জোর করছে।

আরও পড়ুনঃ  রাবি ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

অভিযোগের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাগমারা থানার এসআই আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে একটা মিমাংসা বৈঠকের কথা বলা হয়েছে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *