২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়

মোহাঃ আসলাম আলী স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ পালন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে-১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় মানব সভ্যতার ইতিহাসে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় উল্লেখ করে বক্তারা বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল , সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো: জুয়ের আহাম্মেদ,

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন দুর্গাপুরের বিপ্লব

মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নছিম উদিন,বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ডেপুটি কমান্ডার সোলাইমান হোসেন,সদেস্য সচিক জনাব আলী প্রমুখ।
সভায় মানব সভ্যতার ইতিহাসের কলঙ্কিত ২৫ মার্চ বর্বরোচিত গণহত্যার ভয়াল স্মৃতি চারণ করে বক্তারা বলেন ,একটি জনগোষ্টির স্বাধীকার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত প্রায় ১ লাখের ও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তারা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানী সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ  পুঠিয়া পৌরসভা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে টিসিবির পণ্য

পরাজয় নিশ্চিত ভেবে তারা এই অভিযান চালাই। এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এ জন্য তারা ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন, বিশ্ব বিদ্যালয় চত্বর এবং পিলখানা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘুমন্ত মানুষের উপরে নির্বিচারে হত্যযগ্য চালাই। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি । ঐ দিন রাত ১২ টা ২০ মিনিটে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।

উক্ত সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, এই হত্যকারীরা এখন ভালো নেই। কারণ ওরা এক দেশের মুসলিম হয়ে আরেক দেশের ৩০ লক্ষ মুসলিম-সহ ২ লক্ষ নারীর ইজ্জত (সম্ভম) নিয়েছিল। এদিক থেকে আমরা স্বাধীন সত্বা নিয়ে এখন অনেক এগিয়ে। যে বীর সেনার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালী জাতি একত্রিত হয়েছিল তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ দেশকে একের পর এক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  তানোর পৌর এলাকায় খেলার মাঠ রক্ষায় গ্রামবাসীর মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

তিনি ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে আহবান জানান।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *