নিয়োগ দুর্নীতি : রুয়েটের সাবেক ভিসি এবং রেজিস্ট্রারের নামে মামলা হচ্ছে

নিয়োগ দুর্নীতি : রুয়েটের সাবেক ভিসি এবং রেজিস্ট্রারের নামে মামলা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দেওয়া ১৩৫ জনের মধ্যে ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই রুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম-সেখ এবং সাবেক-ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার-অধ্যাপক সেলিম হোসেন এর নামে সংস্থাটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ অনুসন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চায়া হয়েছে। এরপর গেলো সপ্তাহে দুদকের অনুসন্ধান এবং তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  আদালতে হাজিরা দিয়ে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পালিয়ে গেলেন আসামি

দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সই করা এক চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান শেষে রুয়েট’র-সাবেক ভিসি রফিকুল ইসলাম-সেখ ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত-রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মঞ্জুরি পায়া যায়। দ্রুতই তিনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।
তিনি আরও বলেন, ১৩৫ জনের নিয়োগে কমবেশি অনিয়ম হয়েছে। তবে তার মধ্যে ১৭ জনের নিয়োগ নিয়ে দুদক মামলা করবে।

এদিকে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ৪ বছরের জন্য রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম-সেখ। এরপর বিভিন্ন সময়ে তিনি ১৩৫ জন শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। ২০২১ সালের ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ তম সিন্ডিকেট সভায় এসব নিয়োগ অনুমোদন ও বৈধ করা হয়েছে। তবে এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ তার বিরুদ্ধে বিধি-বিধান লঙঘন করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুনঃ  তানোর পৌর এলাকায় খেলার মাঠ রক্ষায় গ্রামবাসীর মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ: নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এর মধ্যে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে সাবেক ভিসি নিজের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়োগ দেন। যারা নিয়োগ পাওয়ার যোগ্যই ছিলেন না। এসব নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসিতে অভিযোগ হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করেন। তদন্তে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা মেলে।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক এবং পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মশালা

এরপর ইউজিসি থেকে তদন্ত প্রতিবেদন অধিকতর তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে রুয়েটে বিতর্কিতভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। যদিও এসব নিয়োগ আজ (২৫ মার্চ) পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি।

রুয়েট এর সাবেক ভিসি-অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম-সেখ জানিয়েছেন, দুদকের মামলার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এছাড়া নিয়োগে কোনো অনিয়মও হয়নি। মামলা হলে আইনি-ভাবেই তা মোকাবিলা করবেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *