দিল্লি থেকে ঢাকার মসনদ নির্ধারিত হবে না: হাসনাত

দিল্লি থেকে ঢাকার মসনদ নির্ধারিত হবে না: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রশ্নে আমরা আপসহীন। ভারতের দাদাগিরি এই বাংলাদেশে আর চলবে না। দিল্লি থেকে ঢাকার মসনদ নির্ধারিত হবে না।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খুনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস হবে না। যারা ভাবছেন, তাদের নিয়ে নির্বাচন করবেন, তারা ভুল ভাবছেন। এই বাংলাদেশে খুনি আওয়ামী লীগ আর আমরা বিপ্লবীরা একসঙ্গে থাকতে পারব না। আপনারা সিদ্ধান্ত নিন, আওয়ামী লীগ থাকবে নাকি বিপ্লবীরা থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা

তিনি বলেন, খুনি হাসিনার পুলিশ লীগ, র‍্যাব লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থেকে আমরা খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছি। কিন্তু পাঁচ মাসে এ বিপ্লব থেকে আমরা কী পেলাম। এখনো কোনো খুনির বিচার নিশ্চিত হয়নি। এখনো বিডিআর ও শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্য নিশ্চিত হয়নি। আজ চাল ও তেলের দাম আকাশছোঁয়া। বারবার শুধু চাঁদাবাজির দোহাই দেওয়া হয়। এই বিপ্লব থেকে আমরা কী পেয়েছি?

আরও পড়ুনঃ  ফ্যাসিস্ট আ.লীগ ৭১ দখলের মতো বাংলা নববর্ষও দখল করে রেখেছিল : শামা ওবায়েদ

তিনি আরও বলেন, ছয় মাসেও আমরা দেখছি শুধু চাঁদাবাজি ও দখলবাজির পরিবর্তন হয়েছে। পোস্টারের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা দেড় যুগেরও বেশি সময় বঞ্চিত ছিলাম। লেখকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারেননি। মিডিয়া স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তায় নামতে পারেনি। বছরের পর বছর তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ব্যক্তিস্বার্থের কাছে মাথানত করে জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করছি। আমরা দখল ও চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছি। আমাদের দুই হাজারেরও বেশি ভাই শহীদ। হাজার হাজার ভাই আহত। আমাদের প্রবীণ রাজনৈতিক দলের নেতারা আজ ক্ষমতা দখলের জন্য মত্ত। এসব অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমরা আহ্বান জানাই আপনারা পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ে তোলার আগে তরুণদের সঙ্গে আলোচনা করুন।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের পর আপনাদের নেতৃত্বে আমাদের আস্থা ছিল। আমরা এখনও আপনাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমরা একসঙ্গে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ব। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের ঠাঁই হবে না।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *