ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় আহত অভিনেত্রী খুশি

ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় আহত অভিনেত্রী খুশি

অনলাইন ডেস্ক : ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। এতে তার ভ্রুতে ব্যাপক আঘাত লাগায় দিতে হয়েছে ১০টি সেলাই; একটুর জন্য দৃষ্টিশক্তি হারানো থেকেও রক্ষা পেয়েছেন অভিনেত্রী।

দুর্ঘটনাটি চারদিন আগে ঘটলেও শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।

পোস্টে শাহনাজ খুশি লেখেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন! চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মতো শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া। এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০টা সেলাই লেগেছে। আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি, এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’

আরও পড়ুনঃ  মল্লিকাকে নিয়ে চরম আপত্তিকর মন্তব্য অদিতির, অবাক অভিনেতা

সেই পোস্টে দুর্ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে খুশি লেখেন, ‘আমি গলির ভেতরের রাস্তায় প্রাতর্ভ্রমণ শেষে, অতি সতর্কতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো তোয়াক্কা করে না।’

আরও পড়ুনঃ  কথায় কথায় কান্না করার ব্যাখ্যা দিলেন বারিশা হক

সকলকে সতর্ক করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা-বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানা প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি, কোনো বাচ্চা এই আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারিচালিত অসভ্য, বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।’

শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে শাহনাজ খুশি বলেন, ‘আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোনো বোধশক্তি নাই। জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরব কিনা, সেটা যদিও ফিরি, রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলব না।’

আরও পড়ুনঃ  রূপের রহস্য জানালেন মডেল প্রিয়াঙ্কা

এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় ছেলে নিষাদ হুমায়ূনসহ আহত হয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। তাদের যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। এবার একই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত হলেন শাহনাজ খুশি।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *