স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে স্থানীয়দের হাতে ‘ধরা পড়া’ পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এক নারীর ঘরে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে পেয়ে আটক করে স্থানীয়রা। এ সময় তাঁকে লাঠিপেটা করে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে মতিহার থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এএসআই সোহেল রানা আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাতে ওই নারীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনে এএসআই সোহেল রানাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করে। তখন তাঁকে চন্দ্রিমা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে এএসআই সোহেল পুলিশ লাইনসে চলে যান।’
আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এএসআই সোহেলকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করার পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এখন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর সে অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, এএসআই সোহেল রানাকে যে নারীর ঘরে পাওয়া যায়, তিনি থাকেন তাঁর বাবার বাড়িতে। তাঁর মাদক কারবারি স্বামী বছর দেড়েক জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্বামী কারাগারে থাকার সময় থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। যদিও ওই রাতে সোহেল দাবি করেন, তিনি ‘কলেমা পড়ে’ ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আর ওই নারী দাবি করেন, তিনি তাঁর আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। তবে থানায় এসে বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে অন্য কথা বলেন সোহেল রানা।
রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, স্থানীয়দের লাঠিপেটারাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে এএসআই, স্থানীয়দের লাঠিপেটা
সোহেল রানা পুলিশকে জানান, তাঁর তিনটি অটোরিকশা আছে। সেগুলো ওই নারীর তত্ত্বাবধানেই থাকে। মাঝেমধ্যে গিয়ে তিনি ভাড়ার টাকা আনেন। ওই রাতে ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামীসহ স্থানীয়রা তাঁকে আটকে রেখে মারধর করেন।