অনলাইন ডেস্ক : রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব শেষ ওয়ানডে, ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে অনায়াসে জিতেছিল পাকিস্তান। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামার আগে গতকাল বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও জানিয়েছিলেন, ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়ার সামর্থ্য তাঁর দলও রাখে। শান্তদের কোচ বলেছিলেন, ‘এটা বড় স্কোর গড়ার মাঠ। গতকাল (পরশু) দেখেছি লাহোরে কী রানটা হয়েছে। এখানে বড় স্কোরই দেখছি। ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়তে হবে। আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমাদের খেলা গত পাঁচ ওয়ানডে দেখুন, দুটিতেই ৩০০ পেরোনো স্কোর গড়েছি। আমাদের সামর্থ্য আছে।’
কিন্তু তিন শ’র কথা বলে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আড়াই শ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গুরুত্বপূর্ণের চেয়েও যেন গুরুত্বপূর্ণে হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়। কিন্তু সে কাঙ্ক্ষিত কাজটি করে দেখাতে পারবে তো বাংলাদেশ? রাওয়ালপিন্ডিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সুবিধা করতে পারেনি তারা। মিডল অর্ডারের দৈন্যতায় ৯ উইকেটে ২৩৬ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান কার্যকর দুটি ইনিংস খেললেও মাঝের ওভারে দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডির ফ্ল্যাট উইকেটে মাঝে-মধ্যে মোয়ার মতো বল পেয়েই যেন শট খেলার জন্য মরিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ব্যাটাররা। খেসারতও দিতে হলো বেশ। বোলারদের ওপর চাপ বেড়ে গেল কয়েক গুণ।
অধিনায়ক শান্তর ৭৭ ও জাকেরের ৪৫ ইনিংস ছাড়া সেভাবে কেউই অবদান রাখতে পারেননি। শান্তও ফেরেন ছক্কা মারতে গিয়ে, ফুল লেংথের হাঁটুর ওপরের বল তুলে দেন আকাশে। ৫০ পর্যন্ত কোনো জুটি পৌঁছায়নি তাদের। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে দারুণ শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শান্ত ও তানজিদ হাসান তামিম গড়েন ৪৫ রানের জুটি। সৌম্য সরকারের জায়গায় এ ম্যাচে ওপেনিং করেন শান্ত। ভালো শুরুর পরই হঠাৎ খেই হারানো।
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। ২৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ১ উইকেটে ৫৮ রানে পাওয়ার প্লে শেষ করেছে (প্রথম ১০ ওভার)। মেহেদী হাসান মিরাজ তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ রান করা মিরাজকে ফেরান উইলিয়াম ও’রুর্ক।
তৃতীয় উইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫১ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন শান্ত। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হৃদয় আজ করেছেন ৭ রান। তাঁকেও ফিরিয়েছেন ব্রেসওয়েল। তারপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের (২) দৃষ্টিকটু শট ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (৪) ড্রেসিংরুমে ফেরা। দুজনকেই ফেরান ব্রাসওয়েল। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার একাই ধসিয়ে দেন এ কিউই স্পিনার।
১১০ বলে শান্ত ফেরেন ৭৭ রানে। পরে জাকেরের ৪৫ ও রিশাদের ২৬ রানের সৌজন্য দুই শ পেরোয় বাংলাদেশ দল। ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ব্রাসওয়েল। ২টি উইকেট নিয়েছেন ও’রুর্কি।