স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী কলেজে অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফরম পূরণের জন্য মাত্রাতিরিক্ত ফি ধার্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে আলোচনায় বসে ফি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী।
বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ফরম পূরণের জন্য মাত্রাতিরিক্ত ফি ধার্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অন্যান্য কলেজের চেয়ে রাজশাহী কলেজ অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। আমরা বেশকিছু দিন হতে এর প্রতিবাদ করে আসছি। এতেও কোন কর্ণপাত করছে না কলেজ প্রশাসন ও অধ্যক্ষ। তাই আজকে এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, অচিরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন সিদ্ধান্ত না নিলে কঠোর আন্দোলন করার ঘোষণা দেওয়া হবে।
আন্দোলনচলা অবস্থায় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী অফিসে প্রবেশ করেন। এই সময় শিক্ষার্থীদের সাথে কোন কথা না বলা এবং কোন আশ্বস্থ না করে চলে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ শেষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষর কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান ও ফি কমানোর প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এতে করে হৈচৈ পড়ে যায় প্রশাসনিক ভবনে। ছুটে আসেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা এসময় অধ্যক্ষর কাছে জানতে চাই কেনো এতো ফি নেওয়া হচ্ছে। আর বিভিন্ন খাতে খরচ দেখানো ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো কিভাবে খরচ হয় তা জানতে চাই। এই সময় অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ৪ জন ছাত্র প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনা বসার কথা জানান। অধ্যক্ষর এমন কথায় শিক্ষার্থীর বলতে থাকেন সবার সাথে বসেই আলোচনা করতে হবে। পরে অধ্যক্ষ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে আলোচনায় বসেন।
আলোচনায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি
মাহমুদুল হাসান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে ফিনির্ধারণের বিষয়ে খুটিনাটি আলোচনা হয়। শিক্ষার্থীরা পরিবনহ ফি, পত্রিকা ফি, উন্নয়নফিসহ বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেন। এসময় কিছু অসংগতি চিহিৃতও করা হয়।
পরে অধ্যক্ষ মু. যহুর আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের তেমন ভাবে ফি বেশী নেওয়া হচ্ছে না। এই কলেজের অনেক আনুসাঙ্গিক খরচ বেশী হয় এগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ হতেই নেওয়া হয়। তবে যেহেতু দাবি উঠেছে তাই আমরা শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করে যতদুর সম্ভব যৌক্তিক ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিবো এজন্য সময় দিতে হবে।
ছাত্রদের পক্ষহতে জানানো হয়, তাহলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান আর আপাতত ফরম পূরণ বন্ধ রাখার নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হোক।
অধ্যক্ষ মু. যহুর আলী সময় নিয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বের হয়ে আসেন।