সহশিল্পীরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না : প্রভা

সহশিল্পীরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না : প্রভা

অনলাইন ডেস্ক : কাজের তুলনায় ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি সমালোচিত একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। কারণ তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে একটা সময় খুব আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। মোটকথা, সে সময়টা সুখকর ছিল না অভিনেত্রীর; সঙ্গে ক্যারিয়ার ঠিক রাখতে গিয়ে কাটাতে হয়েছে নানা চড়াই-উৎরাই।

এছাড়াও নানা কারণে শোবিজের চাকচিক্য থেকে অভিনেত্রীর অনেকটা দূরে সরে যাওয়ার পেছনে ছিল নানা কারণ। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন সেসবই; অভিনেত্রীর মুখে উঠে এল মিডিয়ার সিন্ডিকেটের কথা।

আরও পড়ুনঃ  চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি : ঋতুপর্ণা

অভিনেত্রী প্রভা সিন্ডিকেটের মাঝে পড়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘সিন্ডিকেট কখন গেছে, কখন এসেছে- সেটার আগেই আমাকে ছোট একটা সিন্ডিকেটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। সেটাকে আসলে ডিরেক্টলি বলা যাবে না।’

প্রভা বলেন, ‘১১-১২ সালের দিকে একটা গ্যাপ গেছে আড়াই বছরের মতো। তারপর যখন আবার কাজ করতে এসেছি, আমার সাথে অনেক ডিরেক্টররা, অনেক কো-আর্টিস্টরা তখন কাজ করতে চাইতেন না; ইভেন এখনও অনেক ডিরেক্টর আমার সঙ্গে কাজ করছেন না।’

আরও পড়ুনঃ  বাবার রূপের বর্ণনা দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, বিতর্কের মুখে ঊর্বশী

তবে অভিনেত্রী জানালেন, মুখের ওপর কাজের জন্য ‘না’ করে দেওয়া হয়নি কখনো। সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য শুধু অ্যাটিচিউড দিয়ে বোঝানো হত- এমনটাই হয়ত বুঝিয়েছেন প্রভা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য অ্যাটিচিউড দেখে মনে হলো, আপনি বোধহয় আর কো-অপারেট করবেন না; তখন আরকি আসলে ওরা স্কিপ করে।’

শেষে অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন একটার কিছুর মধ্যে, এ ধাক্কার মধ্যে কখন সিন্ডিকেট গেছে, আদৌ শুরু হয়েছে কি না, কোনোকিছুই টের পাইনি; কারণ আমি অনেক আগে থেকেই এটা ফেস করেছি।’

আরও পড়ুনঃ  ‘সেই দৃশ্যে শুটিংয়ের পর শরীর কাঁপছিল, বমি হচ্ছিল’

বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় মেকআপ ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন শোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ প্রতিষ্ঠানের নাম। সেখানেই কাজ করতে দেখা গেছে প্রভাকে।

এরই মধ্যে সম্প্রতি দেশে এসেছেন প্রভা। দেশে এসেই নিয়মিতই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন অভিনেত্রী।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *