স্টাফ রিপোর্টার, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে মোসাঃ সোমা (২৩) নামের গৃহবূধুর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে এক রহস্য। কেউ বলছে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন অবার মেয়ের পরিবার অভিযোগ করছে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার হয়েছে। আত্মহত্যা না হত্যা এ নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধ্রুবজাল ।
রোববার (১৬ মার্চ) রাত আনুমানিক দুপুর ২ টা হতে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় ওই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। স্থানীয়রা, পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন মর্মে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে। স্বামী শিপন আলী (২৩) শিপন বারুইপাড়া গ্রামের রুস্তমা আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে ঘটনার পর সকালে তার স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রতিবেশীরা মেয়ের পরিবারকে ডেকে এনে দেখান। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি দেখে সন্দেহ হলে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) পাঠান। অন্যদিকে স্থানীয়রা আরো বলেন দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই ঘটনায় নিহত সোমার মা পিঞ্জিরা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি শিপন, তার পিতা রুস্তম আলী ও প্রথম স্ত্রী রুনা।
শিপনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত শিপন আলীর পিতা রুস্তম আলীকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে নিহত সোমার মা পিঞ্জিরা বেগম বলেন, আমার জামাইরা মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এই ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।