সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায় তারা দেশের শত্রু : শামা ওবায়েদ

সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায় তারা দেশের শত্রু : শামা ওবায়েদ

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি : প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ।

তিনি বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভোটের আশায় আছে। এখনো যুব সমাজ একটা ভোট দিতে পারেনি। সে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায় আমি বলব তারা দেশের ভালো চায় না, তারা গণতন্ত্র চায় না, তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু।

বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে জেলা যুবদলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, আমরা জানি যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তবে বিএনপি জয়লাভ করবে। কেননা বর্তমানে বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে হাসিনা প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে, ভোটাধিকার ধ্বংস করে গেছে। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীলতার মধ্যে স্বচ্ছ পরিবেশে আনতে হবে। এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে এদেশে আইনের শাসন কায়েম হয়, এই দেশে ন্যায়বিচার কায়েম হয়, এই দেশে আর কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি গুম হবে না, নিরাপরাধ ব্যক্তি মিথ্যা মামলার জেলে থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ  বড়াইগ্রামের শিশু জুঁই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

এখন নারীরা নিরাপদ নয় মন্তব্য করে শামা ওবায়েদ বলেন, এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। কেননা দেশে আইনের শাসন নেই। চুরি হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু করতে পারছে না।

আরও পড়ুনঃ  গুলশানে শনিবার থেকে বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল

বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, হাসিনা পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগও দৃশ্যত দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের চারপাশে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘোরাফেরা করছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। যারা ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না, তারা আমাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বিএনপিতে ঢুকে একটা অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।

শামা ওবায়েদ বলেন,খালেদা জিয়া কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি, আবার প্রতিহিংসার রাজনীতিও তিনি করেনি। তারেক রহমান দলকে সুসংগঠিত করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। ১৫ বছর পর আজকে আমাদের সুযোগ হয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে, গণতান্ত্রিক দেশের পথে না এগুলে বাংলাদেশের সংকট আরও ঘনিভূত হওয়ার শঙ্কা আছে। আওয়ামী লীগের দোসর, যেই দেশে হাসিনা বসে আছে সেই দেশ এবং সেই দেশের মিডিয়া এরা বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।

আরও পড়ুনঃ  বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার আলোকে সরকার পরিচালিত হবে। এক ব্যক্তি দুই বার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি রজিব হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন খান, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *