অনলাইন ডেস্ক : বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য খাত ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনসহ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে একসাথে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র একটি সংগঠনের সভাপতি কিংবা সেক্রেটারি পদের জন্য একই খাতের একাধিক বাণিজ্য সংগঠন করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি উদাহরণ হিসেবে পাটখাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই খাতে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়। অথচ এইখাতে ৫টি এসোসিয়েশন করা হয়েছে। এই ধরনের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে ইফেক্টিভ কিছু করতে হবে। মনে রাখতে হবে- ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন দেশ আমাদের বন্ধু নয়, সবাই প্রতিযোগী। এটা মেনে নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনে চ্যালেঞ্জের তুলনায় সামনে সুযোগ অনেক বড়। একসাথে কাজ করতে পারলে সেই সুযোগ কাজে লাগানো সম্ভব।
এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এলডিসি পরবর্তী নীতিকাঠামোয় কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র প্রশাসক বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো পণ্য বৈচিত্রকরণ। এক্ষেত্রে কোন কোন পণ্য ও খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন তা খুঁজে বের করে অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং বেসরকারি খাতের সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার আন্তরিক বলে জানান তারা।
সেমিনারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ড. এম মাশরুর রিয়াজ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির পরিচালক মো: মিজানুর রহমান, বিপিজিএমইএ’র সভাপতি শামীম আহমেদ, বিজেএমএ’র সদস্য ও ক্রিয়েটিং কানেকশনের স্বত্বাধিকারী মাশরেকা বিনতে মোশাররফ, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালকরা, সাধারণ পরিষদের সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।