স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার, সকাল ১০ টায় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর আলুপট্টি মোড় হতে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এবং মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান বুলবুল, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি আব্দুস সামাদ, মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক একেএম সরোয়ার জাহান প্রিন্স, তৌহিদুর রহমান সুইট, আশরাফুল আলম ইমন, সিরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহেল, ডাঃ হাসানুজ্জামান, হাফেজ নুরুজ্জামান, মাওলানা রুহুল আমিন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানার আমীর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে ড. কেরামত আলী বলেন, মানবতার দুশমন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ গাজায় ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বিমান হামলা চালিয়ে শিশুসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও ইসরাইল গাজায় একের পর এক নির্মম বর্বরতা চালাচ্ছে। তাদের মদদ দিচ্ছে মানবতার বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ ও আমেরিকা।
তিনি বলেন, সেখানে নিরাপরাধ নিষ্পাপ শিশুদের উপর যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে তা চরম মানবধিকারের লঙ্ঘন। বিশ্বের এমন কোনো যুদ্ধ আইন নেই, যে আইনে গণহত্যা করা বৈধ। আমরা দেখছি, মানবতার ধোঁয়া উড়ানো বিশ্ব মোড়লরা নিশ্চুপ। মসজিদুল আকসা এবং ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার জন্য ওআইসি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওআইসি আজ নির্জীব। এই নির্জীব ওআইসি আমাদের প্রয়োজন নেই।
তিনি বিশ্ব মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতা বন্ধের জন্য পুরো মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় আপনাদের এই নিষ্ক্রিয়তা, অলসতা একদিন আপনাদের ঘাড়েও চেপে বসবে।