Home রাজশাহী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (‍রাবি) শিক্ষার্থীদের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজ শুক্রবার বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। পরে এটি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে তালাইমারী মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম। বক্তব্য দেন সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, সালাহউদ্দিন আম্মার, নুরুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, করতে হবে’, ‘ফ্যাসিবাদের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

জার্মানির নাৎসি পার্টির মতো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন রাবির সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী। তিনি বলেন, ‘যেদিন আবু সাঈদের রক্তে রংপুরের জমিন লাল হয়েছে, সেদিনই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল যখন রাজনীতি বাদ দিয়ে গণহত্যা, গুম, খুন ও ত্রাসের রাজনীতিতে মেতে ওঠে, তখন সেটাকে নাৎসি পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতে পারে না।’

আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এই বাংলার মাটিতে কারও আবির্ভাব হলে ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা বরদাশত করবে না জানিয়ে মেহেদী বলেন, ‘জুলাইয়ের ২ হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে আমরা বেইমানি করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নই, অবিলম্বে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন।’

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন তো আমরা ৫ আগস্ট নিশ্চিত করে ফেলেছি। আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ যদি রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে ২ হাজার শহীদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। ৩০ হাজার আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ভাই-বোনের হাত-পা ফিরিয়ে দিতে হবে, দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাই-বোনদের চোখ ফিরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না, সেটি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here