অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম এক মৌলিক উপাদান। মিডিয়া ছাড়া কখনোই গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। আমরা যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে মিডিয়াকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে রংপুর ডিভিশনাল রিপোর্টার্স ফোরামের উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের আয়না, সেটা যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে যদি কোন বিকৃতি রূপ আসে সেটা হবে মিডিয়ার ডাই। অর্থাৎ মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকা যদি পালন করে তাহলে মিডিয়া মিডিয়ার জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। যা সত্য তাই প্রকাশ করতে হবে। চাঁদাবাজিটাও প্রকাশ করতে হবে আবার যে চাঁদাবাজির বিরোধিতা করছে তার নিউজ প্রকাশ করতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত ১৭ বছর এত আন্দোলন রক্তপাত, সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার পৃথিবী কাঁপানো যে বিপ্লব হয়ে গেল সেটার মূল স্পিরিট হচ্ছে ডেমোক্রেসি। আমরা বিভিন্নজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করি। আমরা নানা বিষয়ে সমালোচনা করব। আবার আমরা একই প্লাটফর্মে বসে কথা বলব। এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল চেতনা। এ চেতনাকে প্রটেক্ট করবে গণমাধ্যম, তার দায়িত্ব তার স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে কাজ করবে। মিথ্যার কোনো আশ্রয় নেবে না।
মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এ ধরনের একটা আইন হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, মিডিয়ার মালিকরা মিডিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এ ধরনের একটা আইন হলে, আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি, এত রক্তপাত হয়েছে সেই ঝরানো রক্তটা মর্যাদা লাভ করবে। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মিডিয়ার মালিকরা যদি মিডিয়ায় কোনো হস্তক্ষেপ না করে তাহলে গণতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী হবে।
রিজভী বলেন, একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক যে পলিসি। সে পলিসি সব সময় ঘাটতি রয়েছে। কোথায় কি প্রয়োজন সেটা টার্গেট করে সেখানে কি করতে হবে এটা অনেক সময় অধরাই রয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি ঠিকভাবে সমন্বয় করে সেই জায়গাগুলোতে যেতে পারতাম তাহলে সেখানে যে অভাব, সেটা থাকত না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তামজিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সাংবাদিক জিসানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ প্রমুখ।