অনলাইন ডেস্ক : ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, নীতিশ রেড্ডি, হেনরিখ ক্লাসেন– এর চার অস্ত্র ছিলেন আগে থেকেই। এবারে তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন ইশান কিশান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পরিকল্পনা ছিল পরিস্কার। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে শাসন করতে চায় তারা। আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদ নিজেদের সেই শক্তি দেখালো রাজস্থান রয়্যালসকে।
নিজেদের মাঠে হায়দরাবাদের হয়ে ঝড়ের শুরু করেছিলেন অভিষেক শর্মা। তবে ভিডিও গেমের মত করে শুরু করা তার সেই ইনিংসটা বড় হয়নি। তাতে কি! ইশান কিশান, ট্রাভিস হেডরা যেন দায়িত্ব নিয়েই খেললেন টর্নেডো ইনিংস। গেল আসরে ব্যাট হাতেন রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দেয়া হায়দরাবাদ এই মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচেও করেছেন একাধিক রেকর্ড।
তবে সবচেয়ে বড় আক্ষেপ মাত্র ১ রানের জন্য আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর করা হয়নি সানরাইজার্সের হায়দরাবাদের। ২৮৬ রানে থেমেছে তারা। যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর।
আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
২৮৭/৩ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (২০২৪)
২৮৬/৬ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস (২০২৫)
২৭৭/৩ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (২০২৩)
হায়দরাবাদের ব্যাটিং ইউনিটের এমন ঝড় তোলার দিনে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন রাজস্থানের পেসার জফরা আর্চার। ৪ ওভারে আজ খরচা করেছেন ৭৬ রান। এর আগে সর্বোচ্চ ৭৩ রান হজম করেছিলেন ভারতের মোহিত শর্মা।
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে স্পেল
৭৬/০ – জফরা আর্চার, প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ (২০২৫)
৭৩/০ – মোহিত শর্মা, প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস (২০২৪)
৭০/০ – বাসিল থাম্পি প্রতিপক্ষ ব্যাঙ্গালুরু (২০১৮)
দ্রুততম ২০০ রানের স্কোরেও হয়েছে নতুন রেকর্ড। যদিও সেটা যৌথভাবে। ২০১৬ সালে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ১৪.১ ওভারে ২০০ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আজও হায়দরাবাদ ২০০ স্পর্শ করেছে ১৪.১ ওভারেই।
পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে হায়দরাবাদ আজ তুলেছে ৯৪ রান। ঝোড়োগতির ব্যাটিংয়ে শুরুর ওই ৩০ বলে ১৫ চার হাঁকিয়েছে স্বাগতিকদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ৬ ওভারে এরচেয়ে বেশি চার মারার নজির নেই।
আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে সবচেয়ে বেশি চার
১৫ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ রাজস্থান (২০২৫)
১৩ – দিল্লি ক্যাপিটালস, প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব (২০২২)
১৩ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ লখনৌ (২০২৪)
পরের দুই রেকর্ড অবশ্য হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস প্রতিপক্ষ বিবেচনায়। ২০০৮ সালে আইপিএলের শুরু থেকেই আছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। রান হজমের দিক থেকে তাদেরকেই আজ নতুন করে বিব্রতকর রেকর্ড সইতে হলো।
রাজস্থানের বিপক্ষে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ রান
৯৪/১ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০২৫)
৮৭/২ – কোচি টাস্কার্স কেরালা (২০১১)
৭৮/২ – দিল্লি ক্যাপিটালস (২০২৪)
১০ ওভারে রাজস্থানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ
১৩৫/২ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০২৫)
১২০/৪ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (২০১৪)
১১৬/২ – কলকাতা নাইট রাইডার্স (২০২২)
রেকর্ড হয়েছে এক আইপিএল ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির। ১২ বছর আগে ২০১৩ আসরে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪২ বাউন্ডারি হাঁকায় বেঙ্গালুরু। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আজকের ইনিংসে ছিল ৪৬ বাউন্ডারি।
আইপিএলের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি
৪৬ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, প্রতিপক্ষ রাজস্থান (২০২৫)
৪২ – রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, প্রতিপক্ষ পুনে ওয়ারিয়র্স (২০১৩)
৪১ – লখনৌ সুপার জায়ান্টস, প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব কিংস (২০২৩)
রেকর্ডের পাতায় নাম উঠিয়েছেন ট্রাভিস হেডও। আইপিএল ইতিহাসে পাওয়ারপ্লেতে কমপক্ষে ২০০ বল খেলেছেন এমন তারকাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট তার। ২১৬.১২ স্ট্রাইকরেটে ৩১ বলে ৬৭ করেছেন হেড। আজকের পর আইপিএল পাওয়ারপ্লেতে তার স্ট্রাইকরেট ২০১। দুইয়ে থাকা ফিল সল্টের স্ট্রাইকরেট ১৭৫।