পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুল হোসেন (২৯) এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হোসেন ফরিদপুর উপজেলা সদরের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলা সদরের বনওয়ারীনগর আলীম মাদরাসার ধর্ষনের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি প্রতিদিনের ন্যায় ২০২২ সালের ২ এপ্রিল সকালে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। খলিশাদহ ওয়াপদা বাঁধের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক ধরে পাশের শরিফুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সেদিনই অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদপুর থানার বর্তমানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমদ জানান, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছবি সংগ্রহ করে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখালে অভিযুক্ত নাজমুলকে চিনতে পারে।
ঘটনার চারদিন নাজমুল হোসেনকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ২০২৩ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচারক উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদালতের আদেশে খুশি।
তবে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ রেন্টু। তিনি জানান, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মোক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি সেখানে আমার মোক্কেল ন্যায় বিচার পাবেন।