অনলাইন ডেস্ক : ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্বপরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে মানুষের মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আজকের রাতে রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনারা। শুধু ঢাকাতেই হত্যা করা হয় অন্তত ৭ হাজার মানুষকে।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘সেই কালরাতে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এক মিনিট সর্বত্র প্রতীকী ব্ল্যাকআউট করা হবে। জরুরি স্থাপনা (কেপিআই) ব্ল্যাকআউটের আওতামুক্ত থাকবে। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আজ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।’
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বুধবার ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিকেরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এ ছাড়া জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। এদিন সরকারি ছুটি থাকবে।