চীনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর বুধবার থেকেই : যুক্তরাষ্ট্র

চীনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর বুধবার থেকেই : যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে টালমাতাল বিশ্ব বাণিজ্য। অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। এদের মধ্যে চীন কড়া পদক্ষেপ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে আরোপ করে পাল্টা শুল্কা। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চীনের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন। চীনকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের তাগিদ দেন। নয়তো ‘শাস্তি’ হিসেবে আরও ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেন।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি আমলে নেয়নি চীন। প্রত্যাহার করা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পর পারস্পরিক হারে আরোপিত শুল্ক। এতে হুঁশিয়ারি বাস্তবায়নের আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। অর্থাৎ চীনের ওপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে। সেটি বাস্তবায়ন হবে বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকেই। খবর রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সির।

আরও পড়ুনঃ  দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা চাকরিহারাদের

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন,বুধবার থেকে চীনের উপর ১০৪% শুল্ক কার্যকর হবে।
চীনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর বুধবার থেকেই : যুক্তরাষ্ট্র

আরও পড়ুনঃ  ট্রাম্পের আদেশে নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

লিভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে- চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি করতে হবে। প্রতিশোধ নেওয়া চীনের ভুল ছিল।

তিনি আরও বলেন, যদি চীন কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়, তাহলে ট্রাম্প অবিশ্বাস্যভাবে দয়ালু হবেন।

গত ২ এপ্রিল অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের ওপরও বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন, চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আগেই চীনা পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল, ফলে নতুন শুল্ক মিলিয়ে মোট হার দাঁড়িয়েছিল ৫৪ শতাংশে।

আরও পড়ুনঃ  গাজায় সবসময় সেনা উপস্থিতি থাকবে : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জবাবে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ট্রাম্পের ঘোষণার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে আরও ৩৪ শতাংশ যোগ করা হলো। আগে থেকে মার্কিন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।

এরপর মার্কিন শেয়ারবাজারে ধস নামে। মার্কিন প্রভাবাধীন বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারও অস্থির হয়ে উঠে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *