আমি জানি, আমি কে এবং এখানে পৌঁছাতে কী কী করতে হয়েছে

আমি জানি, আমি কে এবং এখানে পৌঁছাতে কী কী করতে হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : মাসখানেক ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অথচ জুলাই আন্দোলন থেকে শুরু করে সমসাময়িক সময়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব ছিলেন তিনি।

তবে হঠাৎ করেই যেন নীরব এই অভিনেত্রী। আগে নানা বিষয়ে নিজের মতামত ফেসবুকে জানালেও এখন একেবারে নীরব। কী হয়েছে বাঁধরেন? বাংলা নববর্ষে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানালেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থেকেই ভালো ছিলেন।

বর্ষবরণের দিনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারা যখন উদযাপনে ব্যস্ত তখন পৃথিবীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন লিখেছেন নিজের সম্পর্কে দীর্ঘ এক লেখা। যেখানে জানিয়েছেন, বেশকিছু দিন ধরে ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে কিছুটা দূরে থাকার কথা। সেই সাথে জানিয়েছেন, অন্যের মন্তব্যে বিচলিত না হওয়ার কথাও।

আরও পড়ুনঃ  আপত্তিকর পোশাকে নাচলেন মাহি, নেটিজেনদের তুলোধুনো

“হ্যালো, পৃথিবী! শুভ নববর্ষ!” দিয়ে কথা শুরু করেন বাঁধন। এরপর তিনি বলেন, ‘শুধু বলতে চাই, আমি এখনও এখানেই আছি। এখনও আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, এখনও আমার বাবার গাড়ি চালাই। বাইরে জীবন সহজ, কিন্তু ভেতরে নীরবে ভাঙাগড়া চলে।’

ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে দূরে থাকা নিয়ে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে আছি। সত্যি বলতে, এটি আমাকে শান্তি এনে দিয়েছে। আমি নিজ হাতে তৈরি হওয়া একজন মানুষ। আমি যে পথে হেঁটেছি তা সহজ ছিল না, তবে এটি একান্তই আমার।’

আরও পড়ুনঃ  অভিনয় নয়, শিল্পা কোটিপতি হয়েছেন যেভাবে

বাঁধন বলেন, ‘আমার ভুলগুলোকে স্বীকার করি, এবং আমার বিকাশকে সম্মান করি। আমার প্রতিটি সফলতা আমি অর্জন করেছি। অন্যদের মতামত আমাকে নাড়াতে পারে না — আমি জানি আমি কে এবং এখানে পৌঁছাতে কী কী করতে হয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ  চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি : ঋতুপর্ণা

সবশেষ এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘কোনো আফসোস নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমার জন্য একটি শিক্ষা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা গল্প, যা আমাকে আজকের আমি হিসেবে তৈরি করেছে। একই সঙ্গে আমি আমাকে আমার মতো করে গুছিয়েছি। এখনো তা চলমান এবং তা আমি চালিয়ে যাব।’

বাঁধনের সেই পোস্টে ভক্তরাও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ অভিনেত্রীর সাহসী ব্যক্তিত্বের প্রশংসা করেছেন কেউ আবার হঠাৎ এমন স্ট্যাটাসের পেছনের কারণ জানতে চাইছেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *