গাজায় সবসময় সেনা উপস্থিতি থাকবে : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজায় সবসময় সেনা উপস্থিতি থাকবে : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সব সময় সেনা উপস্থিতি থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। তিনি আরও বলেছেন, গাজার মোট ভূখণ্ডের কিছু অংশকে ইসরায়েলের ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং সেখানে থাকবে ইসরায়েলি সেনারা।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অতীতে কখনও গাজায় স্থায়ীভাবে ইসরায়েলি সেনা উপস্থিতি ছিল না; কিন্তু এখন থেকে আর এমন হবে না। গাজার বাসিন্দা ও ইসরায়েলি কমিউনিটির মধ্যে বাফার বা মধ্যবর্তী ভূমিকায় থাকবে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার নিরাপত্তা জোনে এখন থেকে সব সময় ইসরায়েলি সেনারা থাকবে, লেবানন এবং সিরিয়ার মতো।”

আরও পড়ুনঃ  ফের ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ, এবার পাসপোর্ট প্রসঙ্গ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যে চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। সেটি ছিল তিন পর্বের। প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।

আরও পড়ুনঃ  কেএফসিতে ভাঙচুর, পাকিস্তানে ১৭৮ বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ইতোমধ্যে বেশ কয়েক বার বলেছে যে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও উপত্যকা থেকে সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলে তারা নিজেদের কব্জায় থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

তবে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পর থেকে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার লাখ লাখ বাসিন্দা অনাহারে-অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ  মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল চীন

গাজায় অভিযানের কারণে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং সেখানকার ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তির ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে তিনি বলেছেন, আপাতত এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের কোনো সম্ভবানা নেই।
“ইসরায়েলের নীতি পরিষ্কার— গাজায় যদি মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করে, তাহলে হামাস ফের গাজার জনগণকে নিজেদের অস্ত্র বা টুল হিসেবে ব্যবহার করবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না,” বিবৃতিতে বলেন কাৎজ।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *