স্টাফ রিপোর্টার,চাঁপাইনবাবগঞ্জ : একজন মাত্র সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্য উপজেলায় অনুপস্থিত থাকছেন সাব-রেজিস্ট্রার। নির্দিষ্ট দিনে জমি রেজিস্ট্রি না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন। সময়ক্ষেপণের কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় সম্প্রতি এবং গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। শুধু নাচোল উপজেলায় রয়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার অবস্থা কাহিল। তাকে হিমসীম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্ধারিত দিনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না তিনি। ফলে কয়েকটি অফিসে একরকম বন্ধ রয়েছে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম।
এ বিষয়ে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠিকমত কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া দলিলের পরিমাণ যদি ২৫০ হয় তাহলে কাজ হয় মাত্র ৫০টার। অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, আজও আমার দলিল সই হবে কি না সন্দেহ, ঘুরে বাসায় যেতে হবে মনে হচ্ছে।
আরও একজন জানান, ৪ মাস আগে একটা নকল তোলার জন্য দিয়েছি কিন্তু আমি সেই নকল এখনো পাইনি। এমন বেহাল দশায় আপনারা নিউজের মাধ্যমে উপর মহলকে অবগত করে একটা সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে জনগণকে বাঁচান।
জানা যায়, ৫০টি দলিলকে ৬০ খানা দলিল বানিয়ে পরবর্তীতে দলিল লেখক চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া শারীরিক সমস্যা দেখিয়ে উনি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেয়।
তবে নিয়মের মধ্যে থেকে যতটুকু সেবা দেওয়া যায় সেটুকুই দিচ্ছেন বলে জানালেন জেলার নাচোল উপজেলার একমাত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার এম.এ.আল মামুন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমাকে একা পাঁচ উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে হয় স্বভাবতই এক সপ্তাহে একদিনের বেশি এক উপজেলায় দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। তথাপি আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি দূর থেকে আসা মানুষকে সেবা দেওয়ার।
জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন বলেন, একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে ৫টি অফিস পরিচালনা হচ্ছে। এতে করে কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে, একই সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। আপনি এবিষয়ে নিউজ করুন তাহলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত হলে অবশ্যয় সমস্যার সমাধান হবে। তাহলে হয়তো পর্যায়ক্রমে অন্য সাব-রেজিস্টার অফিসে শূন্যতা পূরণ করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় বর্তমানে ১৬,৪৭,৫২১ জন জনসংখ্যার জেলার জন্য কমপক্ষে ৫ জন সাব-রেজিস্ট্রার দায়িত্ব পালনের কথা।