অনলাইন ডেস্ক : ভাগ্যিস রাবেয়া খান ছিলেন। শুরুটা একেবারেই ধীরগতির ছিল তার ইনিংস। দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা কারো কাছ থেকে বড় কিছু আশা করাও কিছুটা শক্ত। কিন্তু রাবেয়া খানের ভাবনাটাই ছিল ভিন্ন। শেষ ওভারেই হাঁকিয়েছেন ৩ চার। তার আগের ওভারে ছিল আরও দুটি। টপ অর্ডারে শারমিন আক্তার এবং ফারজানা হকের দারুণ দুই ইনিংসের পর শেষে এসে নাহিদার ২৫ আর রাবেয়ার ২৩ রান বাংলাদেশকে দিয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
জিতলেই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত, এমন এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারীদের বিপক্ষে বাংলাদেশ তুলল ২২৭ রান। বাংলাদেশের স্পিন সক্ষমতা আর পিচের কন্ডিশন বিবেচনায় ক্যারিবিয়ানদের সামনে বেশ চ্যালেঞ্জিং এক স্কোরই দাঁড় করিয়েছে টাইগ্রেসরা।
অথচ বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার যেভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল তাতে ২০০ পার করতে পারা নিয়েই ছিল শঙ্কা। শুরুতে সোবহানা মোশতারি দ্রুত ফিরলেও ফারজানা এবং শারমিন গড়েছেন ১১৮ রানের জুটি। ধীরগতির ইনিংস খেললেও ফারজানার ব্যাট থেকে এসেছে কার্যকর ৪২ রান। ফিফটি তুলে নেয়া শারমিন থেমেছেন ৬৭ রানে।
বড় রানের কক্ষপথে থাকা বাংলাদেশের রানের লাগাম টেনেছেন আলিয়াহ আলাইনের একটা ওভারে। সেখানেই ঘুরে যায় ইনিংসের মোড়। তিন বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ফারজানা এবং শারমিন। এরপর ছিল কেবল আসা যাওয়ার মিছিল। রিতু মণি ছাড়া আর কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ফেরেন ১৫ রান করে। দলের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।
ফাহিমা আর স্বর্ণাও পারেননি বিপর্যয় সামাল দিতে। একপর্যায়ে ১৩৪ রানে ১ উইকেট থেকে স্কোরকার্ড হয় ১৭৭ রানে ৭ উইকেট। সেখান থেকেই হাল ধরেন দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা। ৪ চারের সাহায্যে করেছেন ২৫ রান। ক্রিজ আঁকড়ে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন রাবেয়া। তবে ৪৯তম ওভারে দুই চারে দলের স্কোর ২০০ পার করান রাবেয়া। এরপরে শেষ ওভারে নাহিদা এক চার মেরে আউট হলেও রাবেয়া টানা ৩ চারে স্কোরবোর্ড করেছেন সমৃদ্ধ।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ২২৭ রান। এই রান ডিফেন্ড করতে পারলেই বাংলাদেশ পেয়ে যাবে বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র। উইন্ডিজ নারীদের হয়ে এদিন ৪ উইকেট আলিয়াহ আলাইনের। হেইলি ম্যাথিউস এবং অ্যাফি ফ্লেচার শিকার করেছেন জোড়া উইকেট।