স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন যদি নির্বাচিত হন, তাহলে শহরে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলবেন। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তরুণ-তরুণীরা।
শুক্রবার বিকালে নগরীর বেলদারপাড়া মোড়ে এক পথসভায় এ কথা বলেন রাজশাহী সিটির সদ্য সাবেক এই মেয়র। তিনি বলেন, ‘তরুণ-তরুণীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য শহরে ১০ টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা অনলাইনে আয় করতে পারবে। আমরা কাজের ক্ষেত্র দেখিয়ে দেবো।’
এ দিন নগরীর ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন নৌকার প্রার্থী লিটন। শুরুতে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরপাড়া বড় রাস্তায় পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বেলদারপাড়া মোড় ও অলকার মোড়ে পথসভায় বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০১৩ সালের নির্বাচনে ফল বিপর্যয় হয়েছিল রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে। রাজশাহীতে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ আমাকে বলেছিল, আমরা বড় একটা ভুলে করে ফেলেছি। সেই ভুলটা আমরা সংশোধন করতে চাই। এরপর আমরা লক্ষ্য করলাম ভুল সংশোধন করে তারা ২০১৮ সালে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করেন। ৫ বছরের মধ্যে আমরা মাত্র আড়াই বছর উন্নয়ন কাজে সময় পেলাম। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। তবে মাত্র আড়াই বছরে যে উন্নয়ন করেছি, সেই কাজের প্রশংসা আমরা রাজশাহীবাসী পাচ্ছি। উন্নয়ন কাজ অনেক হয়েছে, আরো হবে। রাজশাহীবাসীর দাবি কর্মসংস্থান। এবারের আমার ইশতেহারে ১ নম্বরে রেখেছি কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচিত হলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো।’
এই পথসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, রাজশাহীর কৃতি সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু তিনি জাতির পিতার সঙ্গে বেঈমানি করেননি। তাঁরই সুযোগ্য সন্তান খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারো দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজকে যে রাজশাহী একটি পরিচ্ছন্ন শহর, শান্তির শহর হিসেবে সারাদেশে পরিচিত পেয়েছে, তার কারিগর খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। দেশের উন্নয়নের জন্য যেমন শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার, তেমনি রাজশাহীর উন্নয়নে লিটন ভাইকে বারবার দরকার।’
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর জাসদ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আবদুল খালেক প্রমুখ।