রাসিক নির্বাচন: শিক্ষিত ব্যবাসায়ী কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে

রাসিক নির্বাচন: শিক্ষিত ব্যবাসায়ী কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ২০১৮ সালের তুলনায় এবার শিক্ষিত, ব্যবসায়ী ও কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। শনিবার রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলোনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার।

তিনি জানান, রাসিকে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর (এসএসসি ও তার নিচে) হার কমেছে। ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৫৪.৩৭%, এবার তা ৫২.৩৭%। অপরদিকে উচ্চ শিক্ষিত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী) প্রার্থীর হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের ২৫.৩৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এবার এই হার দাড়িয়েছে ২৯.৬৩%। স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার হ্রাস পাওয়া এবং উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীর হার বৃদ্ধি পাওয়া ইতিবাচক।

আরও পড়ুনঃ  রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কমেছে। ২০১৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৩১.৩৩% এর বিরুদ্ধে চলমান মামলা ছিল। এবারের নির্বাচনে তা ২৭.১৬%। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে অতীত মামলা সংশিষ্টতা হার বিগত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের চেয়ে অধিক। ২০১৮ সালে অতীত মামলার হার ছিল ২১.১৯%, এবার তা দাড়িয়েছে ২৭.১৬%।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে প্রথম ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্র উদ্ধোধন

দিলীপ সরকার বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্প আয়ের প্রার্থীর হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৮২.০২%, এই নির্বাচনে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭৬.৫৪%। ২০১৮ সালে কোটি টাকার অধিক উপার্জনকারী কোনো প্রার্থী না থাকলেও এবারের নির্বাচনে ৩ জন (১.৮৫%) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় কম স¤পদের মালিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার হ্রাস পেয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫ লাখ টাকার কম স¤পদের মালিক ছিলেন ৬৭.২৮% প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে এই হার ৫০% (স¤পদের ঘর পূরণ না করা প্রার্থীসহ)। অপরদিকে কোটিপতির হার এই নির্বাচনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত নির্বাচনে কোটিপতির হার ১.৮৪% থাকলেও, এবারের নির্বাচনে তা হয়েছে ৩.৭০%।

আরও পড়ুনঃ  তানোরে শীষ মোহাম্মদের কবর জেয়ারত করলেন এমপি প্রার্থী সুলতানুল ইসলাম তারেক

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার গতবারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে প্রার্থীদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিল ৪৮.৩৮%; এবারের নির্বাচনে তা দাঁড়িয়েছে ৫৮.৬৪%-এ।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা সুজনের সভাপতি আহম্মেদ সফিউদ্দিন, মহানগর সভাপতি পিয়ার বখশ্, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম, সুজনের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *