স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দিয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সোয়া ৯টায় নগরীর স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহধর্মিণী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী, জ্যেষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, কনিষ্ঠ কন্যা মাইশা সামিহা জামান শ্রেয়া।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত। প্রার্থী দিলে তারা তাদের অবস্থান বুঝতে পারত। জনপ্রিয়তা থাকলে তাদের প্রার্থী নির্বাচিতও হতে পারতেন। সুতরাং, প্রার্থী না দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত।’
সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিলেও ইভিএম নিয়ে আপত্তি দলটির মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের। তিনি ঠিকমতো প্রচারণাও চালাননি। এ প্রসঙ্গে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তাদের সাধ্যমতো প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। নির্বাচনে আরও অন্যান্য দল অংশ নিলে খুশি হতাম।’
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের দলীয় অনেক নেতা কাউন্সিলর পদে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এ জন্য দল থেকে বহিষ্কার করলেও তারা নির্বাচন থেকে সরেননি। বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভোট কে পাবেন জানতে চাইলে লিটন বলেন, ‘বিএনপির ভোট মেয়র পদে আসলে কে পাবে সেটা বলা মুশকিল। তবে রাজশাহী শহরের উন্নয়নের স্বার্থে তাদেরও কিছু ভোট আমি পাব বলে আশা করছি।’
খায়রুজ্জামান লিটন যে কেন্দ্রের ভোটার সেখানে সকালে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একেক এলাকার মানুষের অভ্যাস একেকরকম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানেও ভোটার বাড়বে।’
লিটন জানান, সকালেই তিনি খবর পেয়েছেন যে দু’একটি কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ধীর গতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে এবং সমস্যার সমাধান করবে।’
খায়রুজ্জামান লিটন আশা করেন, ‘এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অন্তত ৬০ ভাগ হবে। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি ৬০ শতাংশের আশপাশে থাকবে ইনশাল্লাহ। এটা আশা করাই যায়।’
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শহরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী আছেন।