স্টাফ রিপোর্টার: তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বুধবার অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
ভোটের ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুই প্রার্থী তার ধারেকাছেও নেই। কেন্দ্র কেন্দ্র থেকে আসা ভোটের ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমের হাতপাখা প্রতীকে পড়েছে ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। তিনিই আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭ ভোটের ব্যবধানে মেয়র হলেন লিটন।
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে জাকের পার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার গোলাপ ফুল প্রতীকে ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট। তিনি অবশ্য নির্বাচন থেকে আগেই সরে যেতে চাচ্ছিলেন। দল তাকে সরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় মনের বিরুদ্ধেই ভোট করতে হয় তাকে।
ভোটগ্রহণের পর রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। তবে খায়রুজ্জামান লিটন সেখানে যাননি। নগরীর রানীবাজারে দলীয় কার্যালয়ে বসেই কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফল দেখছিলেন। মোট ১৫৫ কেন্দ্রের ফল আসার পর লিটনকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের সমর্থনে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এ শহরের মেয়র হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে পরাজিত হন তিনি।
তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির বুলবুলকেই আবার বড় ব্যবধানে পরাজিত করে লিটন মেয়র হন। এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে তিনি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো নগর ভবনে যাচ্ছেন তিনি।
মেয়র থাকা অবস্থায় রাজশাহীতে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করায় এ শহরে তার জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এর বিপরীতে ভোটে শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। তাই তিনি আবারও মেয়র নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন, এমনটিই সবাই ধারণা করছিলেন।
লিটন পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে নবনির্বাচিত মেয়রকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।