মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

প্রতীক পেলেন রাজশাহী সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। কোনো প্রার্থী একাই কোনো প্রতীক চাইলে তাঁকে সেটি দেওয়া হয়। তবে কোনো প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করা হয়। লটারিতে যে প্রার্থীর নাম ওঠে, সেই প্রার্থী পছন্দের প্রতীক পান।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

প্রতীক বরাদ্দের দিনে প্রার্থীরা তাঁদের সমর্থকদের মিছিল নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আসেন। প্রতীক পেয়ে আবার তারা স্লোগান দিতে দিতে ফিরে যান। অনেক প্রার্থীর সমর্থকদের এ সময় ভুভুজেলা বাঁশি বাজাতে দেখা যায়। দেখা যায় উৎসবমুখর পরিবেশ।

সব শেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হয় মেয়র প্রার্থীদের। প্রথমে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ করা হয়। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমকে ‘হাতপাখা’, জাকের পার্টির প্রার্থী একেএম আনোয়ার হোসেনকে ‘গোলাপ ফুল’ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে ‘লাঙল’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর তাঁদের সমর্থকেরা মিছিল করেন। এছাড়া সারা শহরে পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো শুরু হয়। প্রতীক বরাদ্দের আগেই অবশ্য সকালে শহরের কোথাও কোথাও নৌকার প্রার্থীর পোস্টার দেখা যায়।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে বলব। তারপরও বলব আপনারা (সাংবাদিকরা) বাইরে গিয়ে দেখে আসেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরাও আশাবাদী। কিন্তু ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের আস্থাও আছে, শঙ্কাও আছে। শঙ্কা হলো-এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়।’

জাকের পার্টির প্রার্থী একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হবে, কিন্তু এখনো ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। কীভাবে এতে ভোট দেওয়া হবে, সেটা আমাকেও প্রার্থী হিসেবে জানানো হয়নি। এটা নিয়েই আমার শঙ্কা যে, সবাই ঠিকঠাক ভোট দিতে পারবে কিনা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। আমার মনে হয় ভালোই থাকবে। ভালো থাকলেই সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসবে। নির্বাচন কেমন হবে, সেটা এখনো বলতে পারছি না। এখনো পর্যন্ত আমার কোনো অভিযোগ নেই। অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আমরা সেটা বলতেও চাই না। আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করব না।’

আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজ প্রতীক পেলাম। এখন আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।’ শহরে আগেই পোস্টার লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি জানি না। আসার পথে দেখিওনি। এখন যেহেতু বরাদ্দ হয়ে গেছে, এখন পোস্টার থাকতে পারে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দেখছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করছি।’ প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোস্টার লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টা দৃশ্যমান হলে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন, নিয়ম লঙ্ঘন হলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।’

আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার মেয়র পদে চারজন ছাড়াও ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য ১১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমে।

সর্বাধিক পঠিত