স্টাফ রিপোর্টার : ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সাত মাস বয়সী সাবা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রয়েছে। সাবা ছাড়াও হাসপাতালটিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে সোমবার (১০ জুলাই) সর্বমোট ১৫ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাবার বাবা রাজু বলেন, তাদের বাড়ি নগরীর লক্ষ্মীপুরে চন্ডিপুর এলাকায়। তিনি ঢাকায় চকরি করেন। গত তিনদিন আগে সাবাকে তার স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিল। তবে রোববার চিকিৎসকরা জানায়, তাকে আইসিইউতে নিতে হবে। সাবাকে আইসিওতে নেয়া হয়েছে।
তিনি দাবি করে বলেন, তিনি ঢাকায় থাকেন, আর পরিবার রাজশাহীতে থাকে। সাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তিনি রাজশাহীতে আসেন। যদি তার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়াতো। তাহলে তিনি রাজশাহীতে আসার পরে সাবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হত। কিভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলো সাবা বলতে পারবো না।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিপাশা (১৮), নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার সাব্বির (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিহাবুল (৪০)। তারা ডেঙ্গুর সন্দেহ ভাজন রোগী।
এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার রুহুল (১২), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আবু সাঈদ (২৬), নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার শামীম (১৮), রাজশাহী মহানগর নগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার সাবা (৭), বড়াইগ্রামের মেহেদী (২৭), নগরী বালিয়াপুকুরের আমান (৪৩), রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মাকিসুর (২৫), সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জাকির (২৩), পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার আমিল (২৫), পাবনার ভেড়ামারা উপজেলার সজীব (৩৬), চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার শাকিলা (২৭)।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাজশাহীতে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের ঢাকা যাওয়ার কোন হিস্ট্রি নাই।
এছাড়া হাসপাতালের আইসিইউতে সাবা নামের এক শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।