বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাবিতে ক্যানটিনে বসা নিয়ে ছাত্র লীগের মারামারি, নেতাকে ক্যাম্পাস ছাড়া

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের ক্যানটিনে বসাকে কেন্দ্র কওে ছাত্র লীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সদস্যকে মারধর কওে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র লীগের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের ক্যানটিনে বসাকে কেন্দ্র করে। আজ শুক্রবার দুপুওে মতিহার হলের ক্যানটিনে খাওয়ার জন্য একটি সিটে বসেন জাহিদ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী। এর কিছুক্ষণ পর শান্তনামের এক ছেলে এসে জাহিদকে উঠতে বলেন এবং তিনি আগে ওই সিটে বসেছিলেন বলে দাবি করেন।

জাহিদ তাঁকে অন্য সিটে বসতে বললে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে জাহিদ তাঁর বন্ধু রিফাতের কক্ষে অবস্থান নিলে শান্ত কয়েক জন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে এসে কক্ষের দরজায় লাথি মারতে থাকেন। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে আরও কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে তাঁদের দুজনকে মারধর করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তাঁর অনুসারীরা। তাঁরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিলগালিবের পক্ষের লোকজন।

মারধরের শিকার জাহিদ ও রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাশে ভাস্কর সাহাকে মারধর করেন সাকিবুল ইসলাম বাকির অনুসারীরা। ঘটনা শোনার পর বিকেল ৫ টার দিকে পরিবহন মার্কেটে আসলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা বাকিকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এতে আহত হয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক এই নেতা।

এ বিষয়ে মারধরের শিকার সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘হলে আমার অনুসারীদের মারধর করা হয়েছে, এমন কথা শুনে আমি ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে আসি। এ সময় আমার কয়েকজন অনুসারীও সঙ্গে ছিল। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি সহ আমার ৮-১০ জন কর্মী আহত হই।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের দুই পক্ষকেই ডেকে বিষয়টি শুনে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর শিক্ষার্থীদেও নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা টহল দিচ্ছে।’

সর্বাধিক পঠিত