শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

বিএনপি নেতাকে হত্যা, বাস মালিক সমিতির সম্পাদক কারাগারে

অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ার বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শাহীন হত্যা মামলায় বাস মালিক সমিতির নেতা আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা ও আইনজীবী শাহীন হত্যা মামলায় বিগত সময়ে আমিনুল ইসলামের হাজিরা মিস ছিল। আজ তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ মোট ১১ জনের নামে মামলা করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ওই বছরের ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বরে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। বগুড়া পরিবহন মালিক সমিতির নেতা আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। শাহীন হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর আমিনুলসহ মোট পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বাকি চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই মামলায় ওই সময় আসামিদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণেই শাহীন খুন হন এবং হত্যার পরিকল্পনা ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোটর মালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে হয়। এরপর গ্রেপ্তারকৃতরা ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আমিনুল ইসলামের পরিকল্পনাতেই শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে তারা জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।

সর্বাধিক পঠিত