মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

নাটোর আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম! আটক ৫

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে মো. রাতুল আহমেদ সময় নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় চার রাউন্ড গুলি, দেশিয় অস্ত্র এবং তিনটি রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ৫ জনকে। আহত সময় কানাইখালি এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে।

আদালত চত্বরে আটককৃতরা হলো, সজীব (৩২) নাটোর শহতলীর ফতেঙ্গা পাড়ার রাইজুল ইসলামের ছেলে, সুমন (৩৫) শহরের বঙ্গোজল এলাকার সেকেন্দারের ছেলে, ইমন (২৮) কানাইখালী এলাকার শওকতের ছেলে, সবুজ (২৭) গাড়ীখানা এলাকার সবুরের ছেলে, সোহাগ (৩০) দক্ষিণ পটুয়া পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।

আদালত চত্বরে অপরদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে আদালত চত্তরে এমন ঘটনায় আইনজীবি, বিচার প্রার্থীরা ভীতি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে এঘটনার পর পরই বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর পর নাটোর থানায় প্রেসব্রিফিং করেছেন, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

আদালত চত্বরে
আদালত চত্বরে

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব বিরোধীদের জের ধরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায় রাতুল আহমেদ সময়ের উপরে। এ সময় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাকে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার রাউন্ড পিস্তুল গুলি, হাসুয়া, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বিদেশি বড় চাকু ৫টি দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে করা হয়।

মামলার হাজিরা দিতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বাবু ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতুল ইসলাম সময়সহ তারা বেশ কয়েকজন আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ সজীব, সোহান, সুমনসহ ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসীরা চাপাতি, রামদা, চাকু নিয়ে রাতুলের উপর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রাণ রক্ষার্থে রাতুল দৌড়ে গিয়ে আইনজীবীদের বার ভবনে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা সেখানেও ধাওয়া করে রাতুলের উপর হামলা চালায়। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নাটোর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুক্তা জানান, এই ধরণের ঘৃণিত ও নিন্দনীয় ঘটনায় আইনজীবী সমিতির জরুরির সভা ডাকা হয়েছে। সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। আদালত চত্ত্বর এলাকায় এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করে নি।

সর্বাধিক পঠিত