বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

চৈত্রের ভোরে শীতের কুয়াশা!

স্টাফ রিপোর্টার: প্রকৃতিতে চৈত্র মাস। খরতাপের মৌসুম। ভোর শুরু হওয়ার কথা সূর্যের ঝলমলে আলোয়। কিন্তু বুধবার ভোরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল রাজশাহীতে। ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল রাজশাহীর প্রকৃতি। শীতের কনকনে ঠাÐা ছাড়াই এমন বিরল কুয়াশা দেখে অবাক হয়েছেন রাজশাহীর মানুষ।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। প্রায় আধাঘণ্টা পর প্রকৃতি আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, শীত বিদায় নেওয়ার পর গ্রীষ্মের শুরুতেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। কয়েকদিন ধরে অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে। আগের দিন মঙ্গলবার রাতেও বৃষ্টি পড়েছে ছিটেফোটা। মেঘের গর্জনের সাথে সাথে বিদ্যুৎও চমকেছে। তারপর এই হঠাৎ কুয়াশা দেখে আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারাও অবাক হয়েছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, প্রায় আধাঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। রাজীব খান জানান, বুধবার ভোর ৬ টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই কুয়াশা তা তিনি জানাতে পারেননি।

শীত না থাকলেও কুয়াশা দেখে অনেকের মন ভুললেও ভাবিয়েছে আমচাষিদের। এমন কুয়াশা রাজশাহীর আমের মুকুল ও গুটির জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, কুয়াশা বেশি হলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামের এক ধরনের রোগ হতে পারে আমের মুকুলে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকলে আমের গুটির ও মুকুলের ক্ষতি হবে। তবে কুয়াশা বেশিক্ষণ না থাকায় ক্ষতি হবে না।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com