বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার : ইদের ছুটিতে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিশু, কিশোর ও তরুণসহ সব বয়সের বিনোদনপ্রেমীদের ঢল নেমেছে নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইদের নতুন পোশাকে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন।
রাজশাহীর জিয়া শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, তার অদূরেই থাকা সীমান্ত অবকাশ, সীমান্তে নোঙর এবং ভদ্রা শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। নগরের প্রধানতম বিনোদনকেন্দ্র শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য এখনও রয়েছে বন্ধ। এতে বাড়তি চাপ পড়েছে শিশুপার্কে।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ইদের খুশিতে সবাই মাতোয়ারা। ইদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষ হচ্ছে। আর তাপপ্রবাহ অন্য কয়েক দিনের তুলনায় একটু কম। সেই সুযোগে ইদের অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষরা। নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে রাজশাহী জেলার বাইরে থেকেও মানুষ আসছেন।

জিয়া শিশুপার্কে আসা ফাহিম হাসান বলেন, ছুটির কারণে শহরে যানজট নেই। এছাড়া অন্যান্য দিনের তুলনায় আবহাওয়া ভালো। তাই ইদ আনন্দ উপভোগ করতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শিশুপার্কে বেড়াতে এসেছেন। পার্কেও বেশ ভিড়। তাই খুব ভালো লাগছে।

নিউমার্কেট সুলতাবাদ এলাকার অধীবাসী নূর আলম বলেন, তার এলাকা থেকে অন্য সময় এই শিশুপার্ক পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের অজুহাতে ৭০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া হাঁকছেন রিকশাচালকরা।

শিশুপার্কে বেড়াতে আসা শালবাগান এলাকার আরিফ, রিফাত, জানায়, রাজশাহীর মূল আকর্ষণ ছিল কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। কিন্তু সেটি বন্ধ। সেজন্য তারা এই শিশুপার্কে এসেছেন। এখানেও শিশু-কিশোদের জন্য অনেক ধরনের রাইডস রয়েছে। তাই তারা বন্ধুরা মিলে এখানে বেড়াতে এসেছে।

সালমা বেগম নামের এক অভিভাবক জানান, ইদ ছাড়া সাধারণত এতো আনন্দ করা যায় না। ইদে সবাই ছুটিতে বাড়িতে আসেন। সেই সুযোগে সবাই মিলে বিভিন্ন জায়গা বেড়ানো হয়। অনেক মজা করলাম সবাই মিলে।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com