স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এক ব্যবসায়ীকে কোপানোর পর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে। তবে কী কারণে এই ক্রোকারিজ ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে তার ওপর হামলা হলো তার কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগও হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার হরিয়ান বাজারে মো. শাহীন (৩৪) নামের এই ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় শাহীন দোকানেই ছিলেন। তার বাড়ি পাশর্^বর্তী সুচরণ এলাকায়। ঘটনার পর গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর ৬ থেকে ৭ জন যুবক মুখে কালো কাপড় বেঁধে মাক্রোবাস থেকে নামে। তারা ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী শাহীনকে দেখে জানতে চায় তার নাম বিদ্যুৎ কি না। শাহীন জানান, তার নাম বিদ্যুৎ নয়। তারপরও তাকে এক থেকে দেড় মিনিট ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। এরপর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তারা কাটাখালী বাজারের দিক থেকে গাড়ি নিয়ে এসে বাইপাস রোড হয়ে পালিয়ে যায়।
আহত শাহীনের ভাতিজি মিতা বেগম বলেন, আমার চাচার কারও সাথে শত্রুতা নাই। কারা কী কারণে এই হামলা চালিয়েছে তা আমরা বলতে পারব না। চাচার শারীরীক অবস্থা এখনও ভাল না। কথা বলার মতোও পরিস্থিতি নেই। কথা বলতে পারলে যদি কিছু জানা যায়।
নগরীর কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তখন ঘটনাস্থলে হামলাকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। কারা কেন এই হামলা চালিয়েছে তা জানতে পুলিশ ইতোমধ্যে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। কিন্তু কোন ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগও করা হয়নি।
ওসি জানান, শাহীন কোন রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত না। সন্ত্রাসীরা গাড়ি থেকে নেমে শাহীনের কাছে জানতে চেয়েছিল তার নাম বিদ্যুৎ কি না। পাশেই বিদ্যুৎ নামের আরেক ব্যবসায়ীর দোকান আছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন। বিদ্যুতের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। তিনি দাবি করেছেন, তারও কারও সাথে শত্রুতা নেই। কেউ তার ওপর এভাবে হামলা করতে আসতে পারে তাও তিনি মনে করেন না। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
