রবিবার, মে ৫, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

আলোচিত রিকশাচালক হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

হাফিজুর রহমান হাফিজ, ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীর পৌর এলাকার আলোচিত রিকশাচালক মামুন হত্যাকান্ডের ৪ জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী পিস্তল তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মামলার প্রধান আসামী ঈশ্বরদী থানার শৈলপাড়া গ্রামের মৃত নুর উদ্দিন এর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), আনোয়ারের বড় ভাই পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন একই গ্রামের-মোঃ আকরাম হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (২৬) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবুর ইসলাম সাকিব (১৭)।

শনিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি বিষয় গুলো জানান। তিনি বলেন, আনোয়ারকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে ঈশ্বরদী থানাধীন শৈলপাড়া (বার কোয়ার্টাস) এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী পিস্তল (৭.৬৫ এমএম) এবং তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামী ইব্রাহিম বিজ্ঞ আদালতে দোষ-স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।

উল্লেখ্য, গত চার জানুয়ারি তারিখ রাত অনুমান আটটা চল্লিশ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী থানাধীন পশ্চিম টেংরী ঈশ্বরদী -লালপুর রাস্তায় আলীর মোটর সাইকেল গ্যারেজের সামনে ভুটভুটি এবং পিকআপের দুর্ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনায় পিকআপের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এই গ্লাসের ক্ষতি পূরন আদায় কে কেন্দ্র করিয়া আলীর গ্যারেজের কর্মচারী পারভেজ,পশ্চিমটেংরী এলাকার রকি, মামুন, সুমনসহ আরো লোকজনের সাথে আসামী আনোয়ার এর শ্যালক সুজনের তর্ক বিতর্ক হয়। পিকআপে থাকা আনোয়ারের শ্যালক সুজন এজাহার নামীয় আসামী আনোয়ার কে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করে।

তখন আনোয়ার,ইব্রাহিম,সাকিব সহ আরো ৪/৫ জন আলীর গ্যারেজের সামনে আসে। দুর্ঘটনার ক্ষতি পূরন আদায়কে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হলে আনোয়ারের গুলিতে রিক্সা চালক মামুন মারা যায় এবং রকি ও সুমন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঈশ্বরদী থানায় ৬ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।

সর্বাধিক পঠিত