স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ৫২তম বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
এর আগে, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করা হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন, প্রশাসন ও পুলিশসহ শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলিউল আলম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) ড. মো. মোকছেদ আলী, রাজশাহী বিভাগ স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক শাহানা আখতার জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মান্নান সহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন দফতরের উদ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকাণ্ড। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় অনিবার্য জেনে এই দেশকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। আর এদের সহযোগিতা করেছিল এদেশীয় দোসররা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।