অনলাইন ডেস্ক : চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাকিস্তানের। তাদের বদলে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে ওঠে ইতিহাস গড়েছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে যখন পরপর দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পাকিস্তান, তখন শহীদ আফ্রিদি বলেছিলেন বিশ্বকাপ শেষ হলে সব (প্রতিক্রিয়া) বলবেন। তখন বাবর আজমকে নিয়েই যে তিনি মুখ খুলতে যাচ্ছেন সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল।
গতকাল পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই কিংবদন্তি বলেন, ‘যদি শাহিনকে বিশ্বকাপের কথা ভেবে অধিনায়ক করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা উচিৎ ছিল। আমার মনে হয় বাবরেরও তাকে সমর্থন করা এবং বলা উচিৎ ছিল যে, ‘‘না, আপনারা (পিসিবি) তাকে অধিনায়ক বানিয়েছেন। আমরা তার অধীনে খেলতে প্রস্তুত। আমি তাকে সমর্থন করে তার অধীনে খেলতে চাই।’’ এই রকম অবস্থান নেওয়া দরকার ছিল বাবরের। এই উদাহরণ তৈরি করলে বাবরও অনেক বেশি সম্মান পেত।’
তবে কেবল বাবরকেই দোষ দিচ্ছেন না আফ্রিদি, এজন্য নির্বাচক কমিটিরও দায় দেখছেন। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম এই নায়ক বলেন, ‘এতে পুরো বাবরের দায় নয়, কারণ নির্বাচক কমিটিতেই একে অপরের ওপর দায় চাপানোর মতো লোক আছে। তাদের মধ্যে কাউকে আবারও বলতে শুনেছি যে ‘‘বাবর অধিনায়কত্ব কিভাবে করতে হয় জানেই না।’’’
এদিকে, পাকিস্তানের গণমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে– বিশ্বকাপের পর বর্তমান স্কোয়াডে থাকা ৬-৭ জন ক্রিকেটার বাদ পড়তে পারেন। তবে এমনটা করা সম্ভব নয় বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকদিন ধরে শুনতেছি ৮-৯ জন ক্রিকেটারকে দল থেকে বাদ দেওয়া হবে। এটি সম্ভব নয়, আপনি তখনই ক্রিকেটারদের বাদ দিতে পারেন, যখন দেখবেন তাদের জায়গায় খেলার জন্য পর্যাপ্ত ক্রিকেটার অপেক্ষায় আছে। যদি বাবরকে বাদ দিতে চান, তার মতো কেউ আছে? মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো সক্ষম কেউ আছে, যে তার বিকল্প হতে পারবে? এসব কথা তখনই বলা সম্ভব, যখন আপরার বেঞ্চ যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে।’
পাকিস্তানের হতাশাজনক এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলায় মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। ঘরোয়াতে খেলা ক্রিকেটাররা আরও সম্মান পাওয়া দরকার বলেও মনে করেন আফ্রিদি, ‘ঘরোয়াতে খেলা ক্রিকেটারদের সম্মান দেওয়া উচিৎ। বিশেষ করে অনেক বছর ধরে সেখানে ভালো পারফর্ম করা সালমান আলি আগা, সৌদ শাকিল, শাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ আলিদের মতো ক্রিকেটারদের। যদি তাদের জাতীয় দলে এনে মাত্র তিন ম্যাচ দেখেই বিচার করে ফেলি সেটি অন্যায় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বকাপ দলে থাকা আজম খান অথবা সাইম আইয়ুব, সবারই ন্যূনতম দুই বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা এবং তাদের ফিটনেস বজায় রাখা উচিৎ। নির্বাচক কমিটিকেও ভাবতে হবে এবং নিশ্চিত করে ক্রিকেটারদের বলে দিতে হবে যে, ‘‘যদি তুমি পাকিস্তান দলে খেলতে চাও, তাহলে এই এই কাজ করতে হবে।’’