বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

তাহের হত্যার দুই আসামির ফাঁসি হতে পারে বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও
খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদ হত্যা
মামলার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হতে পারে
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র
থেকে এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কোন
আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার
কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল জলিল
বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কবে, কখন
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে সেটা আমি বলব না। এটা
জেলকোডে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এই মাসের
মধ্যেই রায় কার্যকর হবে।’
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায় কার্যকরের জন্য
ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। জল্লাদদের নিয়ে
কয়েকদিন ধরে মহড়াও চলছে। একই মঞ্চে দুজনের মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর হবে। এ মঞ্চে একসঙ্গে একাধিক আসামির
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ আছে। মহিউদ্দিন ও
জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে কী করা হবে সেটি কারা কর্তৃপক্ষ
সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৮ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের
বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ
মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর
আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। পদোন্নতি না
পাওয়ার ক্ষোভে মিয়া মহিউদ্দিন একই বিভাগের অধ্যাপক

তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত
প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১
ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের
আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল
থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮
সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক
চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দুজনকে খালাস
দেওয়া হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল
বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও
আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের
সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।
আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড
বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫
এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল
রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির
স্বজনেরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া
চালিয়ে যান। সবশেষ গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের করা
একটি রিট খারিজ হয়ে যায়। এখন আসামিদের দণ্ড
কার্যকরে আইনগত বাধা নেই।
রায় কার্যকর করার আগে মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবার ও
স্বজনদের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেয় কারা
কর্তৃপক্ষ। দুই আসামির স্বজনেরাই তাদের সঙ্গে দেখা করেন।
স্বজনেরা এভাবে সাক্ষাৎ করার পর থেকে দণ্ডপ্রাপ্তরা মুষড়ে
পড়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com