স্টাফ রিপোর্টার: ‘যত্নে রাখি শিশু ও মা, গড়ি আগামীর সম্ভাবনা’ এই স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচী (এমসিবিপি) কার্যক্রম সংক্রান্ত অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক (যুগ্মসচিব) মনোয়ারা ইশরাত।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিন। কর্মসূচীর প্রেক্ষাপট ও রুপরেখা তুলে ধরেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবিনা গনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যান চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন, রাসিক এর সচিব, উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা অফিস, উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা অফিসার, রাজশাহীর সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সকল উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী। এই কর্মসূচীটি বাস্তবায়নে জাতিসংঘ ও বিশ^ খাদ্য কর্মসূচী কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর এলাকার কম আয়ের কর্মজীবী মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং মাদার সহ্য়াতা তহবিল কর্মসূচীর একটি সমন্বিত ও উন্নত সংস্করণ।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল নির্দেশিত জীবন চক্র ভিত্তিক কাঠামোর আওতায় মাতৃগর্ভ অর্থাৎ শূন্য থেকে চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর পুষ্টি চাহিদা, মনো-সামাজিক এবং বৃদ্ধি বৃত্তিক বিকাশের উপর গুরুত্ব দিয়ে এই কর্মসূচী রুপরেখা প্রণীত হয়েছে। এই কর্মসূছীর আওতায় ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী গর্ভবতী মা শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের জন্য মাসিক ৮০০/-টাকা করে মোট ৩৬ মাস পাবেন বলে জানান তিনি। কর্মসূচীর নিজস্ব ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম রয়েছে। যার মাধ্যমে গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া মাত্র প্রতিমাসে একজন মা অনলাইানে কর্মসূচীর অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন এবং জিটুপি প্রক্রিয়ায় নিজস্ব হিসাব নম্বর হতে ভাতার অর্থ উত্তোলণ করতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই কার্যক্রমটি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।